আমাদের সম্পর্কে!
আল ইসলাহ্ ইসলামী সংগঠন
এটি মূলত একটি ইসলামিক, সামাজিক, উন্নয়নমূলক, অলাভজনক, অরাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠন বাজিতপুর শহরের আওতাধীন সকল এলাকার তরুণ যুবকরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে পরিচালনা করে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এর পরিধি বেড়ে চলছে।
নামকরণঃ যেহেতু মানুষকে ইসলাহ্ অর্থাৎ সংশোধনের দিকে নিয়ে আসার জন্য এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেহেতু এর নাম দেওয়া হয়েছে আল-ইসলাহ্ ইসলামী সংগঠন।
আল-ইসলাহ শব্দের অর্থঃ ইসলাহ বা আল-ইসলাহ (الإصلاح ,إصلاح, al-ʾIṣlāḥ), যা ইসলাহুল কুলুব বা অন্তর সংষ্কার নামেও পরিচিত, হল একটি আরবি শব্দ, যা ইসলামে উন্নয়ন, বিকাশ, অবস্থার উন্নতিকরণ, কোনকিছু সংশোধন ও পাপমোচন, মীমাংসা, বন্দোবস্ত হিসেবে প্রধানত সংষ্কার বা উন্নয়ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ধর্ম এ রাজনৈতিক পরিভাষা হিসেবে এবং ব্যক্তি ও স্থানের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাজদিদ (অর্থঃ নবায়ন) হল এর সাথে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ, যার অর্থ নতুনরূপে মুসলিম সমাজের সংষ্কার এবং যারা তাজদিদ করেন তাদের মুজাদ্দিদ বলা হয়। ইসলামী খলিফা দ্বিতীয় উমরকে ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ বলে গণ্য করা হয়।
অবস্থানঃ এই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হলো হযরত শাহজালাল বাজার,গাজিরচর,বাজিতপুর,কিশোরগঞ্জ।
আওতাঃ পুরো বাজিতপুর শহরের আওতাধীন সকল এলাকা এই সংগঠনের এলাকাভুক্ত থাকবে।
প্রকৃতিঃ এই সংগঠনটি উল্লেখিত শহরের আওতাধীন এলাকায় ধর্মীয়,সমাজকল্যাণ ও অন্যান্য যাবতীয় কল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ ১. উক্ত শহরের আওতাধীন সকল এলাকার মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ এবং তাদের মধ্যে সৌহার্য্য ও সম্প্রীতি সাধনের চেষ্টা করা।
২. সমাজের যাবতীয় কল্যাণ এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা।
৩. ইসলামী নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি এবং এরই সাথে নৈতিক মূল্যবোধ,দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৪. উক্ত শহরের আওতাধীন গ্রাম এবং এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
৫. প্রতিমাসে উন্নয়নের গতিবিধি নির্ণয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা।
৬. বৎসরে কমপক্ষে একবার ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠান আল-কোরআনের তাফসীর ধর্মীয় পর্যাদি উদযাপন করা।
৭. দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।
৮. সবসময় সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের পাশে থাকবে।
৯. এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করবে।
১০. এলাকার দরিদ্র অশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করে
প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামুল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
১১. যৌতুক প্রথা বন্ধ করা।
১২. মাদক ও অপরাধ মূলক কাজ থেকে বিরত থাকা এবং অন্যকে বিরত থাকার জন্য উৎসাহিত করা।
১৩. ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা এবং গুণী এবং কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া।
১৪. অন্যায় অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
১৫. ক্ষোভ আক্রোশ প্রতিহিংসার বদলে পরস্পরের প্রতি মমত্ববােধ সৃষ্টির
বিষয়ে পরামর্শ দেয়া।
১৬. পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
১৭. সংগঠনের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে নিয়মিত সদস্য সঞ্চয় আদায় এবং সামাজিক ব্যবসা শুরু করা।
১৮. সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে দোকান এবং মটরসাইকেল রেহান ব্যংকের মাধ্যমে ডিপিএস করা অর্থ বৃদ্ধি করা।
আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ্ খাইরান !