গঠনতন্ত্র

অনুচ্ছেদ-১। সংগঠনের নামকরণ:


আল-ইসলাহ্ ইসলামী সংগঠন সংক্ষেপে আল-ইসলাহ্ নামে একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সমাজ কল্যানমূলক সংগঠন হিসাবে গাজিরচর ইউনিয়নের বৃহত্তর কল্যাণের কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।


আল-ইসলাহ শব্দের অর্থঃ ইসলাহ বা আল-ইসলাহ (الإصلاح ,إصلاح, al-ʾIṣlāḥ), যা ইসলাহুল কুলুব বা অন্তর সংষ্কার নামেও পরিচিত, হল একটি আরবি শব্দ, যা ইসলামে উন্নয়ন, বিকাশ, অবস্থার উন্নতিকরণ, কোনকিছু সংশোধন ও পাপমোচন, মীমাংসা, বন্দোবস্ত হিসেবে প্রধানত সংষ্কার বা উন্নয়ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ধর্ম এ রাজনৈতিক পরিভাষা হিসেবে এবং ব্যক্তি ও স্থানের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাজদিদ (অর্থঃ নবায়ন) হল এর সাথে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ, যার অর্থ নতুনরূপে মুসলিম সমাজের সংষ্কার এবং যারা তাজদিদ করেন তাদের মুজাদ্দিদ বলা হয়। ইসলামী খলিফা দ্বিতীয় উমরকে ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ বলে গণ্য করা হয়।


অনুচ্ছেদ-২। মনোগ্রাম:

সংগঠন এর নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।


অনুচ্ছেদ-৩। সংগঠন এর ধরন:

এটি মূলত একটি ইসলামিক, সামাজিক, উন্নয়নমূলক, অলাভজনক, অরাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনটি উল্লেখিত ইউপির আওতাধীন এলাকায় ধর্মীয়,সমাজকল্যাণ ও অন্যান্য যাবতীয় কল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।


অনুচ্ছেদ-৪। কার্যালয়:

সংগঠনের কার্যালয় হযরত শাহজালাল বাজার,গাজিরচর নির্দিষ্ট জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত হবে। সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে উপজেলার যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হবে। যেটি হতে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।


অনুচ্ছেদ-৫। অবস্থান:

আওতাঃ পুরো গাজিরচর ইউনিয়নের আওতাধীন সকল এলাকা এই সংগঠনের এলাকাভুক্ত থাকবে


অনুচ্ছেদ-৬। সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ:

১. উক্ত শহরের আওতাধীন সকল এলাকার মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ এবং তাদের মধ্যে সৌহার্য‍্য ও সম্প্রীতি সাধনের চেষ্টা করা।
২. সমাজের যাবতীয় কল্যাণ এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা।
৩. ইসলামী নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি এবং এরই সাথে নৈতিক মূল্যবোধ,দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৪. উক্ত শহরের আওতাধীন গ্রাম এবং এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
৫. প্রতিমাসে উন্নয়নের গতিবিধি নির্ণয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা।
৬. বৎসরে কমপক্ষে একবার ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠান আল-কোরআনের তাফসীর ধর্মীয় পর্যাদি উদযাপন করা।
৭. দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।
৮. সবসময় সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের পাশে থাকবে।
৯. এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করবে।
১০. এলাকার দরিদ্র অশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করে
প্রাথমিক শিক্ষার ব‍্যবস্থা করা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামুল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
১১. যৌতুক প্রথা বন্ধ করা।
১২. মাদক ও অপরাধ মূলক কাজ থেকে বিরত থাকা এবং অন্যকে বিরত থাকার জন্য উৎসাহিত করা।
১৩. ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা এবং গুণী এবং কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া।
১৪. অন্যায় অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
১৫. ক্ষোভ আক্রোশ প্রতিহিংসার বদলে পরস্পরের প্রতি মমত্ববােধ সৃষ্টির
বিষয়ে পরামর্শ দেয়া।
১৬. পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
১৭. সংগঠনের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে নিয়মিত সদস্য সঞ্চয় আদায় এবং সামাজিক ব্যবসা শুরু করা।
১৮. সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে দোকান এবং মটরসাইকেল রেহান ব্যংকের মাধ্যমে ডিপিএস করা অর্থ বৃদ্ধি করা।



অনুচ্ছেদ-৭। সদস্য পদ:

১. প্রাথমিক সদস্য হওয়ার শর্তাবলিঃ গাজিরচর ইউনিয়নের আওতাভুক্ত সকল এলাকার প্রত্যেক যুবক বৃদ্ধ কিশোর সদস্য হতে পারবে। তবে অন্য শহরের যুবকয়েরা , তারাও উক্ত সংগঠনের শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে সদস্য হতে পারবেন। নির্ধারিত ফরমে সদস্য ফি প্রদান পূর্বক আবেদন করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে,তাদের আলাদা ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। এবং কোন শহরের কোন ইউনিয়নের কোন ওয়ার্ডের কোন বাড়ি তাহা উল্লেখ করতে হবে।


অনুচ্ছেদ-৮। সদস্য পদ বাতিল:

(ক) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দেশ কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।

(খ) কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য যুক্তি সংগত কোন কারন ছাড়া পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে। এক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি/সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

(গ) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ক্ষতি পূরণ অবশ্যই দিতে হবে না হয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঘ) সংগঠনের থেকে কোনো সদস্য যদি ৩ বছরের আগে ইস্তেফা দিতে হয় তাহলে উক্ত সংগঠনের শর্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতা করে যেতে হবে বা তিন বছর পর সংগঠন থেকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে কোনো সদস্য যদি সংগঠন থেকে ইস্তেফা নেয় তাহলে তার আসল সহ লাভ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।


অনুচ্ছেদ-৯। সদস্যদের সুবিধা:

১. সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের কার্যকারী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
২. সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৩. নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
৪. কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য কার্যকারী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৫. সকল সদস্যকে সময়মত সাপ্তাহিক চাঁ‍দা প্রদান করতে হবে।
৬. সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।


অনুচ্ছেদ-১০। পদ হতে ইস্তফা:

কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা কোন সাধারন সদস্য ইস্তফা দিলে তার কারন উল্লেখ করে আমীর বরাবর কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা কোন সাধারন সদস্য ইস্তফা দিলে তার কারন উল্লেখ করে আমীর বরাবর পেশ করতে হবে। আমীল কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতি ক্রমে সদস্যের পদত্যাগ পত্র গ্রহন কিংবা বাতিল করতে পারবেন। অবশ্যই উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটলে উপদেষ্টা পরিষদই তার সমাধান করবে।


অনুচ্ছেদ- ১১। তহবিল:

(ক) তহবিল বলতে আল-ইসলাহ্ ইসলামী সংগঠনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বুঝাবে।
(খ) ফোরামের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভূমিকা রাখার জন্য একটি ফান্ড গঠন করা হবে।
(গ) সংগঠনের আয়ের উৎস হবে-

১. সদস্যদের মাসিক চাদা
২. সদস্যদের বিশেষ উঁদা।
৩. প্রকাশনা থেকে আয়
৪. সদস্য ভর্তি ফি
৫. ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বেসরকারি অনুদান।
৬. বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্জিত মুনাফা।
৭. সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড থেকে আয়।



অনুচ্ছেদ- ১২। মাসিক চাদা:

(ক) সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ৫০ টাকা প্রদান করিয়া রশিদ বই গ্রহন করতে হবে অথবা সমুদয় একবছরে টাকা একবারে প্রদান করিলে সেক্ষেত্রে ১০০০ টাকা দিতে হবে।


অনুচ্ছেদ- ১৩। সাংগঠনিক কাঠামো:

সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো হবে ৩ স্তরের,
যথাঃ
(ক) সাধারন পরিষদ
(খ) উপদেষ্টা পরিষদ
(গ) কার্যকরী পরিষদ

(ক) সাধারন পরিষদ : অত্র সংগঠনের সকল সদস্যদের নিয়ে সাধারন পরিষদ গঠিত হবে।

(খ) উপদেষ্টা পরিষদ : ১১ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। যারা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সংগঠনকে সহযোগিতা করবে। গাজিরচর ইউনিয়নের মান্যগুন্ন্য ব্যক্তিতের মধ্য থেকে ১১ জন বা তার বেশি সংখ্যার সদস্য নির্বাচিত হবে। এছাড়া বিগত কার্যকরী কমিটির বিদায়ী সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উক্ত উপদেষ্টা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। উপদেষ্টা পরিষদ মূলত সংগঠনের অভিভাবক হিসাবে ও নির্বাচন পরিচালনা ও পরামর্শ দানে ভূমিকা পালন করবেন।

(গ) কার্যকরী পরিষদ : সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ২৬ সদস্যের কার্যকরী কমিটি থাকবে। কমিটির মেয়াদকাল হবে এক বছর।

আমীর ০১ জন
সিনিয়র নায়েবে আমীর ০১ জন
নায়েবে আমীর ০২ জন
মহাসচিব ০২ জন
যুগ্ম মহাসচিব ১৯ জন
সহকারী মহাসচিব ১০ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক ০১ জন
সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন
অর্থ সম্পাদক ০২ জন
প্রচার সম্পাদক ১০ জন
সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ০৬ জন
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ০৫ জন
প্রবাসী কল‍্যাণ সম্পাদক ৩১ জন
আইন বিষয়ক সম্পাদক ০১ জন 
দাওয়াহ সম্পাদক ০২ জন
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ০১ জন
ত্রাণ ও পূণর্বাসন সম্পাদক ০৩ জন
ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ০৪ জন 
আন্তর্জাতিক সম্পাদক ০২ জন 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ০১ জন
দফতর সম্পাদক ০২ জন 
কার্যকরী সদস্য ৩০ জন



অনুচ্ছেদ- ১৪। কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং যোগ্যতা:

আমীরঃ

১। সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৩। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৪। আমীর এর স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমােদিত হবে না।
৫। আমীর সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
৬। সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
৭। কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভােট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভােট প্রদান করবেন।
৮। বিশেষ প্রয়ােজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
৯। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
১০। উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে ও সহ-সভাপতি ও মহাসচিব এর সহযােগিতায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র।


সিনিয়র নায়েবে আমীরঃ

আমীর অনুপস্থিতিতে সিনিয়র নায়েবে আমীর কার্যকরী পরিষদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করবেন । আমীরের অনুপস্থিতিতে বা আমীর পদত্যাগ করলে বা পালনে অসমর্থ হলে সিনিয়র নায়েবে আমীর আমীর এর কাজ চালিয়ে যাবেন ।


নায়েবে আমীরঃ

সিনিয়র নায়েবে আমীরের অবর্তমানে নায়েবে আমীর তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন।


মহাসচিবঃ

২। সকল প্রকার যােগাযােগ, চিঠি লেখা ওচিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য/ সদস্যাদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
৫। প্রশাসন প্রকল্প তৈরি,বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহযােগীতা করবেন।
৬। সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খন্ডকালীন কর্মচারী নিয়ােগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন। তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।
৭। সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।
৮। সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ওসাধারণ সদস্যদের সাথে যােগাযােগ আলাপ-আলােচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপাের্ট ও বাজেট পেশ করবেন।
৯। সভাপতির সাথে আলােচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলােচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
১০। অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক, ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমােদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।


যুগ্ম মহাসচিব / সহঃ মহাসচিবঃ

মহাসচিব এর দায়িত্ব পালনে যুগ্ম মহাসচিব / সহঃ মহাসচিব (ক্রমানুসারে) তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং মহাসচিব এর অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে যুগ্ম মহাসচিব / সহঃ মহাসচিব (ক্রমানুসারে) তাঁর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন ।


সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য আমীর / মহাসচিব এর সাথে আলােচনাপূর্বক করণীয়
নির্ধারণ করবেন।
৩। সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরােধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়ােজিত থাকবেন।
৫। সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি আমীরকে অবগত করবেন।
৬। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানাের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।


সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

সাংগঠনিক সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।


কোষাধ্যক্ষ/ অর্থ সম্পাদকঃ

তিনি সংগঠনের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন । কার্যকরী পরিষদ ও সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরীক্ষিত বার্ষিক আয় – ব্যয়ের হিসাব পেশ করবেন । তিনি প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০০/= (পাঁচ হাজার ) টাকা পর্যন্ত কাছে রাখতে পারবেন।


প্রচার সম্পাদকঃ

১। সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘােষিত প্রচারপত্র , পােস্টার
এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের
কাজ।
২। সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনারডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা
সম্পন্ন করে থাকবেন।
৩। সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি
গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৪। প্রয়ােজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গােলটেবিল আলােচনার ব্যবস্থা
করবেন।
৫। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সারা জেলাময় প্রচারের
ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
৬। বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
৭। সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।


ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদকঃ

ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।
সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ শীত বস্ত্র বিতরণ, অসহায় মুমুরশ রোগীর চিকিৎসা, গরিব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করা ।


দাওয়াহ সম্পাদক/সাংস্কৃতিক সম্পাদক/ধর্ম সম্পাদকঃ

ধর্মীয় বিভিন্ন দিবস সঠিকভাবে আয়োজন ও পালনের জন্য ধর্ম সম্পাদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠনের পক্ষে দাওয়াহ দিবেন। ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

কার্যকরী সদস্যঃ

আমীরের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে এবং কার্যকরী কমিটির সিধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সকল কাজে অংশ গ্রহণ করবেন । কার্যকরী সদস্যগণ সংগঠনের কার্যকরী ও সাধারন পরিষদের সভায় উপস্থিত সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তাদের মতামত প্রদান করবেন । সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিষদ কতৃক তাদের উপর অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন ।



অনুচ্ছেদ-১৫ । সভার বিবরণ:

(ক) বার্ষিক সাধারণ সভাঃ প্রতিবছর একবার এ সভা অনুস্থিত হবে । মহাসচিব আমীর এল অনুমোদনক্রমে ৭২ ঘণ্টার জুরুরি নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করবেন । এ সভার প্রস্তাব উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হবে ।

(খ) কার্যকরী পরিষদ সভাঃ তিন মাস পর পর এ সভা অনুষ্ঠিত হবে । মহাসচিব, আমীর এরর সাথে পরামর্শ করে সভার আলোচ্য সূচি, তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করবেন । সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) দিন আগে নোটিশ দিয়ে মহাসচিব যে কোন সময় পরিষদের সভা আহ্বান করবেন ।

(গ) সভার কোরামঃ বার্ষিক সাধারণ সভা, কার্যকরী পরিষদ সভা এবং সাধারণ সভায় সংগঠনের ১/৩ অংশ সদস্যর উপস্থিতিতে কোরাম হবে । কোরামের অভাবে নিদ্রিস্ত তারিখে এ সভা না হলে সভা মুলতবি হয়ে যাবে এবং পরবর্তী নির্ধারিত কোন তারিখে কোরাম সাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ।


অনুচ্ছেদ-১৬ । অনাস্থা প্রস্তাব:

সংগঠনের যে কোন সদস্য কম্পক্ষে ১/৩ অংশ সদস্যর লিখিত সমর্থনসহ কার্যকরী পরিষদ / পরিষদের যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারবে । এ ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব কারনসহ অবশ্যই মহাসচিব কিংবা আমীরের কাছে লিখিতভাবে পেশ করতে হবে ।
মহাসচিব ১৫ দিনের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সভা আহ্বান না করলে অনাস্থা প্রস্তাবকারী ও তাঁর সমর্থকগন সংগঠনের সদস্যের অথবা সদস্যের ৩০ দিনের নোটিশ দিয়ে সভার আয়োজন করবে ।
অনাস্থা প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে সংগঠনের মোট সদস্যের ২/৩ অংশ সদস্য কতৃক আনিত প্রস্তাব গ্রহিত হলে কার্যকরী পরিষদ সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে অথবা সংগঠনের সংশ্লিষ্ট সদস্য তৎক্ষনাত পদচ্যুত হবেন অথবা কার্যকরী পরিষদ সমিতির কাজ পরিচালনা করতে ব‍্যর্থ হয় বা অক্ষমতা প্রকাশ করে তবে, এমন পরিস্থিতিতে কার্যকরী পরিষদ বিলুপ্ত হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ঐ সাধারণ সভাতেই “ এডহক কমিটি ” গঠিত হবে । তবে উক্ত এডহক কমিটি ১ মাসের মধ্যে সাধারণ পরিষদ কতৃক নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ গঠন করার বাবস্থা করবেন ।
উক্ত কার্যকরী পরিষদ গঠিত হওয়ার পর “ এডহক কমিটি ” নব – নির্বাচিত কার্যনির্বাহী নিকট দায় – দায়িত্ব বুঝাইয়া দিবে ।
উক্ত নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ হবে ২ বৎসর


অনুচ্ছেদ-১৭ । কমিটি, এডহক কমিটি, গঠণ:

সময়ে সময়ে কার্যকরী পরিষদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের মধ্যে থেকে নিয়মিত বিভিন্ন কার্যাবলী আয়োজনের জন্য কমিটি, এডহক, উপ কমিটি, গঠণ করবে। এসকল কমিটি সংগঠনের গঠনতন্ত্রের মধ্যে থেকে কার্যাবলী করবে ও কার্যকরী পরিষদের নিকট জবাবদিহী করবে। কার্যকরী পরিষদ সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারনে তা বাতিল বা পূন গঠণ করতে পারবে। তাদের কাজের সীমারেখা নির্ধারন করে দিবে।


(ক) প্রতি এক বছর পর পর বা কার্যকরী পরিষদ এর মতামত বৃহত্তম আঙ্গিকে পুনর্মিলনির আয়োজন করা। অর্থাৎ নির্বাচিত কমিটি তার মেয়াদ কালে একটি করে পুনর্মিলনির আয়োজন করতে সচেষ্ট থাকবে।

(খ) সংগঠনের কোনো সদস্যের মধ্যে যে কেউ সংগঠনের কোন কার্যক্রমে ভালো করবে তাদেরকে প্রতি বছর সংবর্ধনা দেওয়া।

উপবনরত কোন কাজের শেষে কার্যকরী পরিষদের নিকট রিপোর্ট পেশ করবে।কার্যকরী পরিষদ তা সাধারন পরিষদকে জানাবে।


অনুচ্ছেদ-১৮ । বিশেষ কমিটি:

সংগঠনের কাজে সবার সাথে আলোচনা করার জন্য বিশেষ সভা করার জন্য উচ্চ ক্ষমতাশালী বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে।


অনুচ্ছেদ-১৯ । গঠনতন্ত্র সংশোধন:

গঠনতন্ত্রের সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের জন্য কোন সদস্য গঠনতন্ত্রের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনতে চাইলে কম পখ্যে ৩ ব্যাচের ১৫ জন সদস্য মিলে লিখিত ভাবে প্রস্তাব আনতে পারবেন । উক্ত সংশোধনী প্রস্তাব প্রথমে কার্যকরী পরিষদের সভায় অনুমোদন করাইতে হবে । কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে উক্ত সংশোধনী সমতির সাধারণ সভায় ২/৩ অংশের সম্মতিকরমে অনুমোদন করা যাবে ।

১.আইন ও বিধির ক্ষেত্রে : অত্র গঠনতন্ত্রে যাহা কিছুই উল্লেখ থাকক না কেন, উক্ত কার্যকর্ম দেশের প্রচলিত আইন – কানুন অনুযায়ী হবে।